রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
মঙ্গলবার, অক্টোবর ১২, ২০১০
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ১২ই অক্টোবর, ২০১০/২৭শে আশ্বিন, ১৪১৭
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিমড়বলিখিত আইনটি ১১ই অক্টোবর, ২০১০ (২৬শে আশ্বিন, ১৪১৭)
তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছেঃ
২০১০ সনের ৬০নং আইন
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু নিমড়ববর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯
(২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিমড়বরূপ আইন করা হইলঃ⎯
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।(১) এই আইন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)
(সংশোধন) আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
( ৯৩৯৯ )
মূল্যঃটাকা ২.০০
৯৪০০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১২, ২০১০
২। ২০০৯ সনের ৬১ নং আইন এর ধারা ১৩ এর সংশোধন।স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন
পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), এর ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর
‘‘, যাহাতে একটি ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা অন্য একটি ওয়ার্ড হইতে ১০% এর কম বা বেশী না হয়’’
কমা, শব্দসমূহ, সংখ্যা ও চিহ্ন বিলুপ্ত হইবে।
আশফাক হামিদ
সচিব।
মোঃ মাছুম খান (উপ-সচিব), উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়, ঢাকা কর্তৃক মুদ্রিত।
মোঃ মজিবুর রহমান (যুগ্ম-সচিব), উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস,
তেজগাঁও, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত। web site: www.bgpress.gov.bd
রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ১৫ই অক্টোবর, ২০০৯/৩০শে আশ্বিন, ১৪১৬
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিমড়বলিখিত আইনটি ১৫ই অক্টোবর, ২০০৯ (৩০শে আশ্বিন, ১৪১৬)
তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য
প্রকাশ করা যাইতেছেঃ⎯
২০০৯ সনের ৬১ নং আইন ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়নকল্পে
প্রণীত আইন
যেহেতু, ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্তবিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়ন
করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিমড়বরূপ আইন করা হইলঃ⎯
প্রম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন।⎯(১) এই আইন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন
পরিষদ) আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট এলাকাকে এই
আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের সকল বা কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান
করিতে পারিবে।
(৩) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
( ৭০০৩ )
মূল্যঃটাকা ২৮.০০
৭০০৪ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
২। সংজ্ঞা।⎯বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে⎯
(১) ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’অর্থ পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, র্যাপিড
অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব), আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ান আনসার, বাংলাদেশ
রাইফেলস, কোস্ট গার্ড বাহিনী এবং প্রতিরÿা কর্মবিভাগসমূহ;
(২) ‘আচরণ বিধিমালা’অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত আচরণ বিধিমালা;
(৩) ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান’অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন)
এর ধারা ২ এবং অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর
ধারা ২ এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(৪) ‘ইমারত’ অর্থে কোন দোকান, বাড়িঘর, কুঁড়েঘর, বৈঠকঘর, চালা, আসত্মাবল বা
যে কোন প্রয়োজনে যে কোন দ্রব্যাদি সহযোগে নির্মিত কোন ঘেরা, দেয়াল,
পানি-সংরÿণাগার, বারান্দা, পস্নাটফরম, মেঝে ও সিঁড়িও ইহার অমত্মভুর্ক্ত হইবে;
(৫) ‘ইউনিয়ন’ অর্থ এই আইনের ধারা ১১ এর অধীন ইউনিয়ন হিসাবে ঘোষিত পলস্নী
এলাকা এবং বিদ্যমান ইউনিয়নসমূহ;
(৬) ‘ইউনিয়ন পরিষদ’অর্থ এই আইনের ধারা ১০ এর অধীন গঠিত একটি ইউনিয়ন
পরিষদ;
(৭) ‘উপজেলা’অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন) এর
অধীনে উপজেলা হিসাবে ঘোষিত এলাকা এবং বিদ্যমান উপজেলাসমূহ;
(৮) ‘উপজেলা পরিষদ’অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪ নং
আইন) এর অধীনে গঠিত উপজেলা পরিষদ;
(৯) ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার’অর্থ একটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার;
(১০) ‘ওয়ার্ড’অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড;
(১১) ‘কর’ অর্থকোন কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফি, শুল্ক অথবা এই আইনের অধীন
আরোপযোগ্য কোন করও ইহার অমত্মর্ভুক্ত হইবে;
(১২) ‘গ্রাম এলাকা’অর্থ শহর হিসাবে ঘোষিত নয় এইরূপ এলাকা;
(১৩) ‘চেয়ারম্যান’অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান;
(১৪) ‘জনপথ’অর্থ সর্বসাধারনের ব্যবহার্য পথ, রাসত্মা ও সড়ক;
(১৫) ‘জনসংখ্যা’অর্থ সর্বশেষ আদমশুমারিতে উলিস্নখিত জনসংখ্যা;
(১৬) ‘জমি’অর্থ নির্মাণাধীন বা নির্মিত অথবা জলমগড়ব যে কোন জমি;
(১৭) ‘জেলা’অর্থ District Act, 1836 (Act No. 1 of 1836) এর অধীন সৃষ্ট জেলা;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০০৫
(১৮) ‘ডেপুটি কমিশনার’অর্থে এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে নিয়োগকৃত
কোন কর্মকর্তাকে বুঝাইবে যিনি ডেপুটি কমিশনারের সকল কিংবা যে কোন কার্য
পালন করিবেন;
(১৯) ‘তফসিল’অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(২০) ‘তহবিল’অর্থ ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল;
(২১) ‘থানা’ অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) এর বিধান
অনুযায়ী গঠিত পুলিশ স্টেশন;
(২২) ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার বা তৎকর্তৃক
ÿমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা;
(২৩) ‘নগর এলাকা’অর্থ নগর হিসাবে ঘোষিত এলাকা;
(২৪) ‘নির্ধারিত কর্তৃপÿ’ অর্থ সরকার বা এই আইনের কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণকল্পে
সরকার কতৃর্ক ÿমতা প্রদত্ত যে কোন সরকারি কর্মকর্তা;
(২৫) ‘‘নির্ধারিত পদ্ধতি' অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি।
(২৬) ‘নির্বাচন কমিশন’ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর
অধীন প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন;
(২৭) ‘নির্বাচন পর্যবেÿক’ অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা, যাহাকে নির্বাচন কমিশন বা
এতদুদ্দেশ্যে তদকর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন
নির্বাচন পর্যবেÿণের জন্য লিখিতভাবে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে;
(২৮) ‘নির্ভরশীল’ অর্থ প্রার্থীর স্বামী বা স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, সৎ ছেলে-মেয়ে, পিতা, মাতা,
ভাই বা বোন যিনি প্রার্থীর উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল;
(২৯) ‘নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ’অর্থে দ- বিধি, ১৮৬০ (Penal Code, 1860) এ
সংজ্ঞায়িত চাঁদাবাজি, চুরি, সম্পত্তি আত্মসাৎ, বিশ্বাস ভংগ, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং
Prevention of Corruption Act, 1947 (Act.II of 1947) এ সংজ্ঞায়িত
Criminal Misconductও ইহার অমত্মভুর্ক্ত হইবে;
(৩০) ‘পথ’অর্থে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হোক বা না হোক পায়ে চলার
এমন পথ, মাঠ, বহিরাঙ্গন বা চলাচলের রাসত্মা বা সড়কও ইহার অমত্মর্ভুক্ত হইবে;
(৩১) ‘পরিষদ’অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ;
(৩২) ‘প্রবিধান’অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(৩৩) ‘বাজার’ অর্থ এমন কোন স্থান যেখানে জনগণ মাছ, মাংস, ফল-মূল, শাক-সবব্জী বা
অন্য যে কোন খাদ্য দ্রব্য বিμয় ও μয়ের জন্য সমবেত হয় অথবা পশু বা গরম্ন-
ছাগল ও পশু-পÿী μয়-বিμয় হয় এবং এমন কোন স্থান যাহা বিধি মোতাবেক
বাজার হিসাবে ঘোষণা করা হইয়াছে;
৭০০৬ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(৩৪) ‘বাজেট’ অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের একটি আর্থিক বৎসরের আয় ও ব্যয়ের নির্ধারিত
আর্থিক বিবরণ;
(৩৫) ‘বার্ষিক মূল্য’ অর্থ কোন গৃহ বা জমি প্রতি বছর ভাড়া দিয়া প্রাপ্ত অথবা প্রাপ্য মোট
টাকা;
(৩৬) ‘বিধি’অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৩৭) ‘ব্যাংক’ অর্থ⎯
(ক) ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা
৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;
(খ) The Bangladesh Shilpa Rin Sangstha Order, 1972 (P.O.No.
128 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা;
(গ) The Bangladesh Shilpa Bank Order, 1972 (P.O. No. 129 of
1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক;
(ঘ) The Bangladesh House Building Finance Corporation Order,
1973 (P.O. No.17 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হাউস
বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন;
(ঙ) The Bangladesh Krishi Bank Order, 1973 (P.O. No. 27 of
1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক;
(চ) The Investment Corporation of Bangladesh Ordinance, 1976
(Ordinance No. XL of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইনভেস্টমেন্ট
কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ;
(ছ) The Rajshahi Krishi Unnayan Bank Ordinance, 1986
(Ordinance No.LVIII of 1986) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী কৃষি
উনড়বয়ন ব্যাংক; বা
(জ) কোম্পানী আইন ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত
Basic Bank Limited (Bangladesh Small Industries and
Commerce Bank Limited);
(৩৮) ‘মৌজা’ অর্থ কোন নির্দিষ্ট এলাকা যাহা ভূমি জরিপের মাধ্যমে কোন জেলার ভূমি
সংμvমও দলিলে মৌজা হিসাবে লিপিবদ্ধ ও সংজ্ঞায়িত;
(৩৯) ‘রাসত্মা’ অর্থে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত নয় এমন রাসত্মাও ইহার অমত্মর্ভুক্ত
হইবে;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০০৭
(৪০) ‘লাভজনক পদ’ (Office of Profit) অর্থ প্রজাতন্ত্র কিংবা সরকারী সংবিধিবদ্ধ
কর্তৃপÿ কিংবা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী ও যে সকল কোম্পানীতে সরকারের
৫০% এর অধিক শেয়ারের মালিকানা আছে সে সকল কোম্পানীতে সার্বÿণিক
বেতনভুক্ত অফিস, পদ বা অবস্থান;
(৪১) ঙসংμvমক ব্যাধি’ অর্থে এমন ব্যাধি যাহা একজন ব্যক্তি হইতে অন্য ব্যক্তিকে
সংμvমিত করে এবং সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রকাশিত অন্য যে কোন
ব্যাধিও ইহার অমত্মভুর্ক্ত হইবে;
(৪২) ‘সংবিধান’অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান;
(৪৩) ‘সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপÿ’ অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২(১)
অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপÿ;
(৪৪) ‘সদস্য’ অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য;
(৪৫) ‘সরকার’অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার;
(৪৬) ‘সরকারি রাসত্মা’অর্থ সরকার কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য কোন
কর্তৃপÿ কর্তৃক রÿণাবেÿণাধীন জনসাধারণের চলাচলের জন্য সকল রাসত্মা;
(৪৭) ‘স্থানীয় কতৃর্প ÿ’ অর্থ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
কোন বিধিবদ্ধ সংস্থা;
(৪৮) ‘স্থায়ী কমিটি’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটি;
(৪৯) ‘হাট’অর্থ পণ্যসামগ্রী, খাদ্য, মালামাল, পশুসম্পদ, ইত্যাদি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন ও
সময়ে μয়-বিμয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।
দ্বিতীয় অধ্যায়
ওয়ার্ড
৩। ওয়ার্ড গঠন|⎯(১) ইউনিয়ন পর্যায়ে সংরÿÿত আসন ব্যতিরেকে সাধারণ সদস্য
নির্বাচনের জন্য ইউনিয়নকে ৯(নয়) টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে হইবে।
(২) সংরÿÿত আসনে সদস্য নির্বাচনের উদ্দেশ্যে একটি ইউনিয়নকে ৩ (তিন) টি ওয়ার্ডে
বিভক্ত করিতে হইবে।
৪। ওয়ার্ড সভা|⎯(১) এই আইনের অধীন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি
ওয়ার্ড সভা গঠন করিতে হইবে।
৭০০৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(২) প্রত্যেক ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় অমত্মর্ভুক্ত ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে ঐ ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভা
গঠিত হইবে।
৫। ওয়ার্ড পর্যায়ে উন্মুক্ত সভা।⎯(১) প্রত্যেক ওয়ার্ড সভা উহার স্থানীয় সীমার মধ্যে বৎসরে
কমপÿÿ ২ (দুই) টি সভা অনুষ্ঠিত করিবে, যাহার একটি হইবে বাৎসরিক সভা।
(২) ওয়ার্ড সভার কোরাম সর্বমোট ভোটার সংখ্যার বিশ ভাগের একভাগ দ্বারা গঠিত হইবে;
তবে মূলতবী সভার জন্য কোরাম আবশ্যক হইবে না, যাহা সাত দিন পর একই সময় ও স্থানে
অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩) ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠানের অন্যূন সাতদিন পূর্বে যথাযথভাবে সহজ ও
গ্রহণযোগ্য উপায়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করিবে; মূলতবী সভার ÿÿত্রেও অনুরূপ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করিতে
হইবে।
(৪) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করিবেন
এবং সংশিস্নষ্ট ওয়ার্ড সদস্য সভাপতি হিসাবে উক্ত সভা পরিচালনা করিবেন।
(৫) সংশিস্নষ্ট ওয়ার্ডের সংরÿÿত আসনের সদস্য ওয়ার্ড সভার উপদেষ্টা হইবেন।
(৬) ওয়ার্ড সভায় ওয়ার্ডের সার্বিক উনড়বয়ন কার্যμমসহ অন্যান্য বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করা
হইবে; বার্ষিক সভায় সংশিস্নষ্ট ওয়ার্ড সদস্য বিগত বৎসরের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক সংশেস্নষসহ
ওয়ার্ডের চলমান সকল উনড়বয়ন কার্যμম সম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং ওয়ার্ড সভার কোন সিদ্ধামত্ম
বাসত্মবায়ন করা সম্ভব না হইলে সংশিস্নষ্ট ওয়ার্ড সদস্য এবং পরিষদের চেয়ারম্যান উহার যৌক্তিকতা
ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপন করিবেন।
৬। ওয়ার্ড সভার ÿমতা, কার্যাবলী, ইত্যাদি।⎯(১) এই আইনের বিধান সাপেÿÿ এবং
নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ড সভার নিমড়ববর্ণিত ÿমতা, কার্যাবলী ও অধিকার থাকিবে, যথাঃ⎯
(ক) ইউনিয়ন পরিষদের উনড়বয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ
ও বিন্যসত্মকরণে সহায়তা প্রদান;
(খ) ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রকল্প প্রসত্মাব প্রস্ত্তত এবং বাসত্মবায়নযোগ্য স্কীম ও উনড়বয়ন কর্মসূচির
অগ্রাধিকার নিরূপণ;
(গ) নির্ধারিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে বিভিনড়ব সরকারি কর্মসূচির উপকারভোগীদের চূড়ামত্ম
অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্ত্তত ও ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হসত্মামত্মর;
(ঘ) উনড়বয়ন প্রকল্প কার্যকরভাবে বাসত্মবায়নের জন্য স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার
সহযোগিতা প্রদান;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০০৯
(ঙ) স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয় উনড়বয়ন কার্যμম এবং সেবামূলক কার্যμম বাসত্মবায়নে
উৎসাহ প্রদান ও সহায়তাকরণ;
(চ) রাসত্মার বাতি, নিরাপদ পানির উৎস ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য ইউনিট, সেচ সুবিধাদি এবং
অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প স্থান বা এলাকা নির্ধারণের জন্য পরিষদকে পরামর্শ
প্রদান;
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছনড়বতা, পরিবেশ সংরÿণ, বৃÿ রোপণ, পরিবেশ দূষণ রোধ, দুর্নীতিসহ
অন্যান্য সামাজিক অপকর্মের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা;
(জ) ওয়ার্ডের বিভিনড়ব শ্রেণী ও পেশার লোকের মধ্যে ঐক্য ও সুসম্পর্ক সৃষ্টি করা, সংগঠন
গড়ে তোলা এবং বিভিনড়ব প্রকার μxড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা;
(ঝ) ওয়ার্ডের বিভিনড়ব উনড়বয়নমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত উপকারভোগী শ্রেণী বা
গোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ, তদারক ও সহায়তা প্রদান;
(ঞ) সরকারের বিভিনড়ব কল্যাণমূলক কর্মসূচিভুক্ত (যেমন, বয়স্কভাতা, ভর্তুকি, ইত্যাদি)
ব্যক্তিদের তালিকা যাচাই করা;
(ট) ওয়ার্ডের বিভিনড়ব এলাকায় বাসত্মবায়নযোগ্য কাজের প্রাক্কলন সংμvমও বিভিনড়ব তথ্য
সংরÿণ;
(ঠ) সম্পাদিতব্য কাজ ও সেবাসমূহের বিসত্মারিত তথ্য সরবরাহ;
(ড) পরিষদ কর্তৃক ওয়ার্ড সংμvমও বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধামত্মসমূহের যৌক্তিকতাসমূহ অবহিত
হওয়া;
(ঢ) ওয়ার্ড সভা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধামত্মসমূহের বাসত্মবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং
কোন সিদ্ধামত্ম বাসত্মবায়ন না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা;
(ণ) জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যμম, বিশেষতঃ বিভিনড়ব প্রকার রোগ প্রতিরোধ এবং পরিবার
পরিকল্পনা কার্যμমে সwμয় সহযোগিতা করা; স্যানিটেশন কার্যμমের সঙ্গে
সম্পৃক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে বর্জ্য অপসারণের ÿÿত্রে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে
সহায়তা প্রদান;
(ত) ওয়ার্ডের বিভিনড়ব এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ, রাসত্মা আলোকিতকরণ ও অন্যান্য
সেবা প্রদানে ত্রম্নটি বিচ্যুতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণের ব্যবস্থা করা;
(থ) ওয়ার্ডের বিভিনড়ব শিÿা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক-শিÿক সম্পর্ক উনড়বয়ন;
(দ) যৌতুক, বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ ও এসিড নিÿÿপ ও মাদকাসক্তের মত সামাজিক
সমস্যা দূরীকরণে সামাজিক আন্দোলন গড়িয়া তোলা;
৭০১০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(ধ) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যμমে সহযোগিতা প্রদান করা;
(ন) আত্ম-কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উৎসাহিত করা;
(প) সরকার বা পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদন।
(২) ওয়ার্ড সভা ইহার সাধারণ বা বিশেষ সভায় প্রাপ্ত বিভিনড়ব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করিবে;
তাছাড়া উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত উলেস্নখযোগ্য কার্যাবলী, বিভিনড়ব উনড়বয়ন কার্যμমের বাজেট বিভাজন,
কর্মপরিকল্পনা, খাত ভিত্তিক অর্থ বরাদ্দ, প্রাক্কলন, সম্পাদিত ও সম্পাদিতব্য কাজের মালামাল μয়
বাবদ অর্থ ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার লÿÿ্য ওয়ার্ডের উন্মুক্ত দর্শনীয় স্থানে বোর্ডে
লিখে টাঙ্গাইয়া দিবেন।
(৩) ওয়ার্ড সভায় অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন ও আলোচনা করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে সভার
মতামত ও সুপারিশ পরিষদের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।
(৪) ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওয়ার্ড সভায় উপস্থিত থাকিয়া সভার কার্যবিবরণী তৈরী ও গৃহীত
সিদ্ধামত্মসমূহ রেকর্ড করিবেন এবং বাসত্মবায়ন অগ্রগতি পরবর্তী পরিষদ ও ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপন
করিবেন।
(৫) ওয়ার্ড সভা কোন সাধারণ বা বিশেষ কার্যাদি সম্পনড়ব করিবার উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক
উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০ (দশ) জনের অধিক হইবে না এবং তন্মধ্যে
অন্যূন ৩ (তিন) জন মহিলা হইবেন ।
(৬) সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে ওয়ার্ড সভার সিদ্ধামত্ম গৃহীত হইবে, তবে যতদূর সম্ভব সাধারণ
ঐকমত্যের এবং সভায় উপস্থিত মহিলাদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় হইবে।
(৭) ওয়ার্ড সভা বিজ্ঞপ্তি আহবানের মাধ্যমে সম্ভাব্য উপকারভোগীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত
দরখাসত্মসমূহ তদমত্ম করিয়া যাচাই বাছাইয়ের জন্য সভায় উপস্থাপন করিবে; সভায় যাচাই বাছাইয়ের
পর নির্ধারিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে উপকারভোগীদের চূড়ামত্ম অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্ত্তত করা হইবে এবং
উহা পরিষদের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করিতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোনরূপ অনিয়ম প্রমাণিত না হইলে পরিষদ ওয়ার্ড সভা কর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত
ও প্রেরিত অগ্রাধিকার তালিকা পরিবর্তন করিতে পারিবে না।
৭। ওয়ার্ড সভার দায়িত্ব।⎯(১) ওয়ার্ড সভা নিমড়বলিখিত দায়িত্ব পালন করিবে,যথাঃ⎯
(ক) ওয়ার্ডের উনড়বয়নমূলক ও জনকল্যাণমুখী কার্যμমের অগ্রগতি ও অন্যান্য তথ্য
সরবরাহ;
(খ) কৃষি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিÿা, জনস্বাস্থ্য,
যোগাযোগ, যুব উনড়বয়ন, ইত্যাদি বিষয়ক উনড়বয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০১১
(গ) জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অত্যাবশ্যকীয় আর্থ-সামাজিক উপাত্ত সংগ্রহ;
(ঘ) বৃÿ রোপণ ও পরিবেশ উনড়বয়ন এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছনড়ব রাখা;
(ঙ) নারী ও শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও এসিড
নিÿÿপ নিরোধ কার্যμম, দুর্নীতিসহ অন্যান্য সামাজিক অপকর্মের বিরূদ্ধে
জনসচেতনতা সৃষ্টি করা;
(চ) ওয়ার্ডের আইন-শৃংখলা রÿাসহ সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা;
(ছ) জনগণকে কর, ফি, রেইট, ইত্যাদিসহ বিভিনড়ব প্রকার ঋণ পরিশোধের জন্য
উদ্বুদ্ধ করা;
(জ) স্থানীয় সম্পদের সংগ্রহ ও উনড়বয়নের মাধ্যমে পরিষদের সম্পদের উনড়বয়নে
সহায়তা করা;
(ঝ) স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে উনড়বয়নমূলক ও অন্যান্য সমাজগঠনমূলক কর্মসূচি বাসত্মবায়নে
এবং সংগঠন তৈরীতে সহায়তা;
(ঞ) মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জরম্নরী ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ।
(২) ওয়ার্ড সভার কার্যাবলী সম্পর্কে পরিষদকে রিপোর্ট প্রদান।
(৩) ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ÿমতা ও কার্যাবলী ছাড়াও ওয়ার্ড সভা, ÿÿত্র
বিশেষে, বিশেষ সভা আহবানের জন্য পরিষদকে অনুরোধ করিতে পারিবে।
(৪) ওয়ার্ড সভার পূর্ব বা পরবর্তী অনুমোদনবিহীন কোন ব্যয় যাহার দায়িত্বে ব্যয়িত হইবে,
উহা তাহার ব্যক্তিগত দায় হিসাবে গণ্য হইবে।
তৃতীয় অধ্যায়
পরিষদ
৮। ইউনিয়নকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা।⎯এই আইনের অধীন ঘোষিত প্রত্যেকটি
ইউনিয়নকে, সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদের সহিত পঠিতব্য ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে
এতদ্বারা প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক একাংশ বলিয়া ঘোষণা করা হইল।
৯। পরিষদ সৃষ্টি।⎯(১) এই আইন বলবৎ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান সকল ইউনিয়ন পরিষদ
এই আইনের বিধান অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ হিসাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ
সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেÿÿ, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি
অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হসত্মামত্মর করিবার ÿমতা থাকিবে এবং ইহা নিজ নামে মামলা
দায়ের করিতে পারিবে অথবা ইহার বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
(৩) পরিষদ এই আইন দ্বারা প্রদত্ত ÿমতা, কার্যাবলী এবং দায়িত্ব পালন করিবে।
৭০১২ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
১০। পরিষদ গঠন।⎯(১) ইউনিয়ন পরিষদ ১ (এক) জন চেয়ারম্যান ও ১২ (বার) জন সদস্য
লইয়া গঠিত হইবে যাহাদের ৯ (নয়) জন সাধারণ আসনের সদস্য ও ৩ (তিন) জন সংরÿÿত
আসনের সদস্য হইবেন।
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেÿÿ, চেয়ারম্যান ও সাধারণ আসনের সদস্যগণ এই আইন
ও বিধি অনুসারে প্রত্যÿ ভোটে নির্বাচিত হইবেন।
(৩) প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ৩(তিন)টি আসন সংরÿÿত থাকিবে,
যাহা সংরÿÿত আসন বলিয়া অভিহিত হইবে এবং উক্ত সংরÿÿত আসনের সদস্যগণও এই আইন ও
বিধি অনুসারে প্রত্যÿ ভোটে নির্বাচিত হইবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে ৯(নয়)টি সাধারণ আসনের সদস্য
নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের সরাসরি অংশগ্রহণকে বারিত করিবে না।
(৪) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্ত পরিষদের একজন সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন।
(৫) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী পাইবেন।
(৬) এই আইনের অধীনে গঠিত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নাম
সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবে।
(৭) সরকার ইউনিয়নে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর পরিষদের নিয়ন্ত্রণ
ÿমতা প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করিবে।
১১। ইউনিয়ন গঠন।⎯(১) ডেপুটি কমিশনার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত
পদ্ধতিতে কতকগুলি গ্রাম বা সংলগড়ব মৌজা বা গ্রামের সমন্বয়ে ১ (এক) টি ওয়ার্ড এবং ৯ (নয়) টি
ওয়ার্ডের সমন্বয়ে একটি ইউনিয়ন ঘোষণা করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষিত ইউনিয়ন ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত নামে
অভিহিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়নের নামকরণ কোন ব্যক্তির নামে হইবে না।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ইউনিয়নের ওয়ার্ডসমূহের μমিক নম্বর এবং
উক্ত ওয়ার্ডের স্থানীয় সীমানা নির্দিষ্ট করিতে হইবে।
(৪) সরকার প্রত্যেক ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের লোক সংখ্যা নির্ধারণ করিবে।
(৫) ডেপুটি কমিশনার যেইরূপ অনুসন্ধান করা উপযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ অনুসন্ধান
করিয়া পরিষদ গঠন করিবার পর, প্রজ্ঞাপন দ্বারা⎯
(ক) কোন ওয়ার্ড হইতে যে কোন মৌজা বা গ্রাম বা উহার অংশ বিশেষ বাদ দিতে
পারিবেন;
(খ) কোন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডকে একাধিক ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে
পারিবেন; অথবা
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০১৩
(গ) কোন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড এবং উহার সংলগড়ব এলাকাকে অমত্মর্ভুক্ত করিয়া একটি
ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পুনর্গঠন করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন ইউনিয়ন পরিষদ উহার
এলাকাভুক্ত এবং বাতিলকৃত কোন ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব না থাকিবার কারণে উক্ত
পরিষদ গঠনের বৈধতা ÿুণড়ব হইবে না।
১২। সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ।⎯(১) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়ার্ডের সীমানা
নির্ধারণের উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্য হইতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয়
সংখ্যক সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা ও সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবেন।
(২) সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তার অধীনে কার্য সম্পাদন
করিবেন ।
১৩। ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ।⎯(১) ওয়ার্ডসমূহের সীমানা নির্ধারণের ÿÿত্রে এলাকার
ভৌগোলিক অখ-তা এবং জনসংখ্যার বিন্যাস ও প্রশাসনিক সুবিধাদির প্রতি লÿ্য রাখিতে হইবে,
যাহাতে একটি ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা অন্য একটি ওয়ার্ড হইতে ১০% এর কম বা বেশি না হয়।
(২) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা ওয়ার্ডসমূহের সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে যেরূপ প্রয়োজন মনে
করিবেন সেইরূপ রেকর্ড-পত্র পরীÿা, তদমত্ম এবং এতদ্সংμvমও বিষয়ে উপস্থাপিত প্রসত্মাবসমূহ
বিবেচনা করিতে পারিবেন এবং প্রসত্মাবিত কোন্ এলাকা কোন্ ওয়ার্ডের অমর্ত্মভুক্ত হইবে উহা উলেস্নখ
করিয়া ওয়ার্ডসমূহের একটি প্রাথমিক তালিকা তাহার দফতর, বিভিনড়ব সত্মরভুক্ত পরিষদ কার্যালয় ও তিনি
যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অন্যান্য উম্মুক্ত স্থানে প্রকাশ করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে
তৎসম্পর্কে আপত্তি ও পরামর্শ দাখিল করিবার আহবান সম্বলিত নোটিশ তাহার দফতর, বিভিনড়ব
সত্মরভুক্ত পরিষদ কার্যালয় ও তিনি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অন্যান্য উম্মুক্ত স্থানে
প্রকাশ করিবেন।
(৪) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ উপজেলা
নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন; উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্তরূপ আপত্তি বা পরামর্শ
প্রাপ্তির তারিখ হইতে অনধিক ১৫ (পনের) কার্য দিবসের মধ্যে যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ
তদমেত্মর পর তাহার সিদ্ধামত্ম সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তাকে জানাইবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধামত্ম অনুসারে সীমানা
নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকা সংশোধন, পরিবর্তন বা
রদবদল করিবেন।
৭০১৪ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(৬) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিবার
পর, তাঁহার দফতরে, সংশিস্নষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এবং তাঁহার বিবেচনানুসারে অন্য কোন স্থানে
ওয়ার্ডসমূহের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করিবেন যাহাতে প্রতি ওয়ার্ডে অমত্মর্ভুক্ত এলাকাসমূহ নির্দেশ
করিতে হইবে।
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন প্রকাশিত তালিকার বিরম্নদ্ধে সংÿুব্ধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ
লিখিতভাবে অনধিক ১০ (দশ) কার্য দিবসের মধ্যে ডেপুটি কমিশনারের নিকট আপিল দায়ের করিতে
পারিবেন; ডেপুটি কমিশনার আপিলকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে শুনানির সুযোগ দিয়া উপজেলা নির্বাহী
অফিসারের সিদ্ধামত্ম এবং সংশিস্নষ্ট নথিপত্র ও তথ্য পরীÿা-নিরীÿা করিয়া আপিল দায়েরের অনধিক ৩০
(ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে সিদ্ধামত্ম প্রদান করিবেন এবং আপিল কতৃর্প ÿ হিসেবে ডেপুটি কমিশনারের
সিদ্ধামত্ম চূড়ামত্ম বলিয়া গণ্য হইবে।
(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন আপিল কতৃর্প ÿÿর সিদ্ধামেত্মর পর সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা
ওয়ার্ডের সীমানার প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিয়া অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
আপিল দায়ের করা না হইয়া থাকিলে সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা প্রতিটি ওয়ার্ডে অমত্মর্ভুক্ত এলাকাসমূহ
উলেস্নখ করিয়া ওয়ার্ডসমূহের চূড়ামত্ম তালিকা তাঁহার দফতরে, পরিষদের কার্যালয় ও তাঁহার
বিবেচনানুসারে অন্য কোন প্রকাশ্য স্থান বা স্থানসমূহে প্রকাশ করিবেন এবং তিনি উক্ত তালিকার
সত্যায়িত কপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং তিনি উহা সরকারি গেজেটে
প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন।
(৯) সংরÿÿত আসনের সদস্য নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এই ধারার অধীন
কোন ইউনিয়নকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্তিকরণের সাথে সাথে, এই ধারার বিধানাবলী
অনুসরণ করিয়া, উক্ত ওয়ার্ডসমূহকে এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডরূপে চিহ্নিত করিবেন যেন এইরূপ
সমন্বিত ওয়ার্ডের সংখ্যা সংরÿÿত আসন সংখ্যার সমান হয়।
১৪। পরিষদের এলাকা রদবদলের ফল।⎯(১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন পরিষদ
হইতে কোন একটি এলাকা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হইলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ
হইতে উহা উক্ত পরিষদের প্রশাসনিক অধিÿÿত্র এবং সরকার যদি অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকে
তাহা হইলে, উক্ত পরিষদে বলবৎ নিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপনের অধীন থাকিবে না।
(২) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন একটি এলাকা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অন্য কোন
পরিষদের অমত্মর্ভুক্ত করা হইলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে উহা উক্ত পরিষদের প্রশাসনিক
অধিÿÿত্র এবং সরকার যদি অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকে তাহা হইলে, উক্ত পরিষদে বলবৎ নিয়ম,
আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপনের অধীন থাকিবে।
(৩) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন একটি পরিষদের এলাকাকে দুই বা ততোধিক পরিষদে
বিভক্ত করা হইলে উক্ত এলাকাসমূহকে পৃ ক পৃ ক পরিষদ হিসাবে পুনর্গঠিত করিতে হইবে এবং
অনুরূপভাবে বিভক্ত পরিষদ নবগঠিত পরিষদের অমত্মর্ভুক্ত হওয়ার তারিখ হইতে আর বিদ্যমান
থাকিবে না।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০১৫
(৪) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন এলাকাকে কোন পরিষদের সঙ্গে একীভূত করা হইলে
অথবা দুই বা ততোধিক পরিষদকে একটি মাত্র পরিষদ গঠনের জন্য একীভূত করা হইলে উক্তরূপ
পুনর্গঠন দ্বারা ÿতিগ্রসত্ম পরিষদ বা পরিষদসমূহের সম্পত্তি, তহবিল, দায়-দায়িত্ব, ইত্যাদি নির্ধারিত
কর্তৃপÿ কতৃর্ক লিখিত আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ বিভাজন অনুসারে, নির্ধারিত
পরিষদ বা পরিষদসমূহে বর্তাইবে এবং উক্তরূপ নির্ধারণ চূড়ামত্ম হইবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী প্রদত্ত কোন আদেশে উক্তরূপ পুনর্গঠন কার্যকর করিবার জন্য
যেরূপ আবশ্যক হইবে সেইরূপ পরিপূরক, আনুষঙ্গিক ও পারিণামিক (Consequential) বিধানাবলী
থাকিতে পারিবে; তবে উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী বিভক্তিকরণের পর বা উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী
একীভূতকরণের পর, পরিষদ পুনর্গঠনের প্রয়োজনে⎯
(ক) পূর্বতন পরিষদের সদস্যগণের পদের মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যমত্ম নবগঠিত পরিষদ
বা পরিষদসমূহে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যাইবে না;
(খ) যে সকল সদস্যের পদের মেয়াদ অনুত্তীর্ণ থাকিবে সে সকল সদস্য সরকার বা
তৎকর্তৃক ÿমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপÿÿর আদেশμমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা
সে সকল নির্বাচনী এলাকা নিয়া গঠিত (সম্পূর্ণ বা আংশিক) পরিষদের সদস্য
হিসাবে ঘোষিত হইবেন; যে সকল নির্বাচনী এলাকা হইতে উক্ত সদস্যগণ
পূর্বের পরিষদসমূহে নির্বাচিত হইয়াছিলেন এবং এইরূপ যে কোন সদস্য তাঁহার
পদের মেয়াদের অনুত্তীর্ণ অংশের জন্য নবগঠিত পরিষদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।
১৫। কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা অংশ বিশেষ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতে
অমত্মর্ভুক্তির ফল।⎯(১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা ইহার
অংশ বিশেষ পৌরসভায় বা সিটি কর্পোরেশনে রূপামত্মরিত বা কোন বিদ্যমান পৌরসভায় বা সিটি
কর্পোরেশনে অমত্মর্ভুক্ত করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ইউনিয়ন বা ইহার অংশবিশেষকে পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন
সংμvমও প্রচলিত আইনে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ করিতে হইবেঃ
আরো শর্ত থাকে যে, পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা সংμvমও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত
হইবার পর উক্ত এলাকার সংশিস্নষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা সংÿুব্ধ ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ১ (এক) মাসের
মধ্যে উক্তরূপ ঘোষণার বিরম্নদ্ধে সরকারের নিকট লিখিত আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবে; উত্থাপিত
আপত্তি সম্পর্কে সরকার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পৌর এলাকা বা
সিটি কর্পোরেশন গঠনের বিষয়ে চূড়ামত্ম সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করিবে।
(২) যদি কোন সময়ে, কোন ইউনিয়ন পরিষদের সমগ্র এলাকা উক্ত সময়ে বলবৎ কোন বিধি
অনুযায়ী কোন প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা কোন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের
প্রশাসনিক এলাকাভুক্ত করা হয়, তাহা হইলে সংশিস্নষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে
৬ (ছয়) মাসের মধ্যে বা প্রজ্ঞাপনে যেরূপ নির্দিষ্ট হইবে সেরূপ তারিখ, বা যে তারিখে নবগঠিত
সংস্থাটির নির্বাচনসমূহ সম্পনড়ব হয় সে তারিখ, ইহাদের মধ্যে যাহা আগে হইবে, উক্ত তারিখ হইতে
৭০১৬ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
আর বিদ্যমান থাকিবে না এবং যে সকল সম্পত্তি, তহবিল ও অন্য পরিসম্পদ উক্ত পরিষদে
বর্তাইয়াছিল তৎসমূহ এবং উক্ত পরিষদের সকল অধিকার ও দায়-দায়িত্ব ÿÿত্রানুযায়ী সংশিস্নষ্ট
পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিকট সংশিস্নষ্ট কতৃর্প ÿÿর আদেশানুযায়ী বর্তাইবে
ও হসত্মামত্মরিত হইবে এবং উক্ত পরিষদের অধীনে নিযু্ক্ত ব্যক্তিগণ তাঁহাদের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে ও
নিয়োগের শর্তানুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হইলে যে তারিখে উক্ত পরিষদ আর বিদ্যমান থাকিবে না সে
তারিখ হইতে সংশিস্নষ্ট পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে নিয়োজিত হইয়াছেন
বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) যদি কোন সময়ে, কোন পরিষদের অংশ বিশেষ উক্ত সময়ে বলবৎ কোন বিধি অনুযায়ী
কোন প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা কোন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রশাসনিক
এলাকাভুক্ত করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পরিষদের অংশ, উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে ৬ (ছয়)
মাসের মধ্যে বা প্রজ্ঞাপনে যেরূপ নির্দিষ্ট হইবে সেরূপ তারিখ, বা যে তারিখে নবগঠিত সংস্থাটির
নির্বাচনসমূহ সম্পনড়ব হয় সে তারিখ, ইহাদের মধ্যে যাহা আগে হইবে, উক্ত তারিখ হইতে হ্রাসপ্রাপ্ত
হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; অনুরূপভাবে অমত্মর্ভুক্তকৃত পরিষদের অংশ বিশেষের সকল সম্পত্তি,
তহবিল ও অন্য পরিসম্পদ এবং উক্ত পরিষদের সকল অধিকার ও দায়-দায়িত্ব ÿÿত্রানুযায়ী সংশিস্নষ্ট
পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিকট সংশিস্নষ্ট কতৃর্প ÿÿর আদেশানুযায়ী বর্তাইবে
ও হসত্মামত্মরিত হইবে এবং সরকার অন্যরূপ নির্দেশ না দিলে, ÿÿত্রানুযায়ী, উক্ত পৌরসভা, সিটি
কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধিÿÿত্রাধীন (Jurisdiction) এলাকার জন্য বলবৎ সকল
নিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপন উক্ত পরিষদ এলাকার যে অংশ উক্তরূপে অমত্মর্ভুক্ত হয় সে অংশের
ÿÿত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
১৬। পৌরসভা, ইত্যাদির সমগ্র বা আংশিক এলাকা নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গঠন।⎯(১) যদি
সরকার মনে করে যে, কোন পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সমগ্র এলাকা বা
উহার কোন অংশ বিশেষের রূপরেখা পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে এবং উহার অধীনে এক বা একাধিক
ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত
প্রজ্ঞাপনের প্রাক-প্রকাশনার পর⎯
(ক) উক্তরূপ এলাকাকে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করিয়া কোন
ইউনিয়ন পরিষদে অমত্মর্ভুক্ত করিতে পারিবে; বা
(খ) উক্তরূপ এলাকায় এক বা একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রাক-প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি গণ-বিজ্ঞপ্তি আকারে অমত্মতঃ
দুইটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় (স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত একটি পত্রিকাসহ) এবং সংশিস্নষ্ট
ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার গুরম্নত্বপূর্ণ অফিস ও স্থানসমূহে প্রকাশ করিতে হইবে, যাহাতে
উক্ত প্রকাশনার তারিখ হইতে অনধিক ২ (দুই) মাসের মধ্যে আপত্তি উত্থাপনের আহবান
জানানো হইবে এবং সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন কতৃর্প ÿ আপত্তি উত্থাপনকারী বা
উত্থাপনকারীদের শুনানির সুযোগ দিয়া প্রাপ্ত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সিদ্ধামত্ম প্রদান করিবে।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০১৭
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী চূড়ামত্ম প্রজ্ঞাপন প্রকাশনার তারিখ হইতে অনধিক ১৮০ (একশত
আশি) দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইতে হইবে এবং
উক্তরূপ নির্বাচন সমাপ্তির তারিখ হইতে, উক্তরূপ এলাকা, ÿÿত্রানুযায়ী, উক্তরূপে নির্দিষ্ট বা গঠিত
ইউনিয়ন পরিষদের অমত্মর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং উক্তরূপে প্রজ্ঞাপিত এলাকা পৌরসভা বা সিটি
কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অংশ হিসেবে আর বিদ্যমান থাকিবে না।
(৩) উপ-ধারা (১) এ উলিস্নখিত এলাকা যে তারিখ হইতে ইউনিয়ন পরিষদের অমত্মর্ভুক্ত করা হয়
সেই তারিখ হইতে⎯
(ক) সংশিস্নষ্ট পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের যে এলাকা উক্তরূপে
অমত্মর্ভুক্ত হয় সে এলাকা সম্পর্কিত সম্পত্তি, তহবিল ও দায়-দায়িত্ব সংশিস্নষ্ট কর্তৃপÿ
কর্তৃক যেরূপ নির্ধারিত হইবে সেরূপ বিভাজন অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদে বর্তাইবে ও
উহার নিকট হসত্মামত্মরিত হইবে; এবং
(খ) উক্তরূপে অমত্মর্ভুক্ত এলাকা সম্পর্কিত ব্যক্তিগণের মধ্যে যাহারা পৌরসভা বা সিটি
কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কতৃর্ক নিয়োজিত, তাঁহারা সংশিস্নষ্ট ইউনিয়ন
পরিষদে কর্মরত থাকিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে বিধি অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদে
নিয়োজিত হইবেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
১৭। নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ইত্যাদি কারণে পরিষদ পুনর্গঠন।⎯কোন পরিষদের
অমত্মর্ভুক্ত সম্পূর্ণ বা আংশিক এলাকা নদী ভাঙ্গন অথবা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিলীন
বা বিলুপ্ত হইয়া গেলে সরকার, উক্ত পরিষদ বিধি অনুযায়ী বাতিল বা পুনর্গঠন করিবে এবং পুনর্গঠনের
ÿÿত্রে নতুন পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যমত্ম বিদ্যমান পরিষদ এই আইনের বিধান অনুযায়ী সকল
কার্যμম পরিচালনা করিবে।
১৮। প্রশাসক নিয়োগ।⎯(১) কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর ইহার কার্যাবলী
সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করিবে এবং এই
আইনের বিধান মোতাবেক নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যমত্ম প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের
যাবতীয় দায়িত্ব পালন করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের
অধিক সময় কাল দায়িত্বে থাকিতে পারিবেন নাঃ
আরো শর্ত থাকে যে, কোন দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই আইনের বিধান মোতাবেক নির্বাচিত
পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হইলে সরকার উক্ত মেয়াদ অনধিক ৬০ (ষাঁট) দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(২) সরকার প্রশাসককে কর্মসম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য
সমন্বয়ে কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(৩) প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ, যথাμমে, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের ÿমতা প্রয়োগ
করিবেন।
৭০১৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
চর্তু অধ্যায়
চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচন
১৯। ভোটার তালিকা ও ভোটাধিকার।⎯(১) প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক
প্রণীত একটি ভোটার তালিকা থাকিবে।
(২) কোন ব্যক্তি কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাভুক্ত হইবার অধিকারী হইবেন, যদি তিনি⎯
(ক) বাংলাদেশের একজন নাগরিক হন;
(খ) আঠারো বৎসরের কম বয়স্ক নহেন;
(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কতৃর্ক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত নহেন;
(ঘ) সংশিষ্ট ওয়ার্ডের অধিবাসী বা অধিবাসী বলিয়া গণ্য হন।
(৩) কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকায় যে ওয়ার্ডে অমত্মর্ভুক্ত হইবেন, তিনি সেই ওয়ার্ডের সদস্য
এবং চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।
২০। নির্বাচন পরিচালনা, ইত্যাদি।⎯(১) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে নির্বাচন
কমিশন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচনের আয়োজন, পরিচালনা ও সম্পাদন করিবে এবং
অনুরূপ বিধিতে নির্বাচন কমিশন নিম্নরূপ সকল বা যে কোন বিষয়ের বিধান করিতে পারিবে, যথাঃ⎯
(ক) নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং
অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাহাদের ÿমতা ও দায়িত্ব;
(খ) প্রার্থীদের মনোনয়ন, মনোনয়নের ÿÿত্রে আপত্তি এবং মনোনয়নপত্র বাছাই;
(গ) প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত জামানত গ্রহণ এবং উক্ত জামানত ফেরত প্রদান বা
বাজেয়াপ্তকরণ;
(ঘ) প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ;
(ঙ) প্রার্থীদের এজেন্ট নিয়োগ;
(চ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ÿÿত্রে নির্বাচন পদ্ধতি;
(ছ) ভোট গ্রহণের তারিখ, সময়, স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংμvমও অন্যান্য বিষয়;
(জ) ভোটদান পদ্ধতি;
(ঝ) প্রাপ্ত ভোট বাছাই ও গণনা, ফলাফল ঘোষণা এবং সমান সংখ্যক ভোট প্রাপ্তির ÿÿত্রে
অনুসরণীয় পদ্ধতি;
(ঞ) ব্যালট পেপার ও নির্বাচন সংμvমও অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলি বন্টন;
(ট) যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়;
(ঠ) প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় এবং এতদ্সংμvমও যাবতীয় বিষয়;
(ড) নির্বাচনে দুর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ এবং অন্যান্য নির্বাচনী অপরাধ এবং
উহার দ- এবং প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের আচরণ ও আচরণ বিধি ভংগের দ-;
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০১৯
(ঢ) নির্বাচনী বিরোধ এবং উহার বিচার ও নিষ্পত্তি;
(ণ) অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ, ম্যাজিষ্ট্রেটের ÿমতা প্রয়োগ, মামলার মেয়াদ সংμvমও
বিষয়াদি;
(ত) ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন সংμvমও দায়িত্ব পালনরত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার
সদস্যদের গ্রেফতার করার ÿমতা; এবং
(থ) নির্বাচন সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়।
(২) কোন ব্যক্তি, উপ-ধারা (১) এর দফা (ড) এ উলিস্নখিত⎯
(ক) নির্বাচনে দূর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ করিলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর
কারাদ- অথবা অনধিক ১০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদ- বা উভয়দ-- দ--ত হইবেন;
(খ) নির্বাচনী অপরাধ করিলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস এবং অনধিক ৩ (তিন) বৎসর
কারাদ-- দ--ত হইবেন; এবং
(গ) আচরণ বিধির কোন বিধান লংঘন করিলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদ- অথবা
অনধিক ১০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-- দ--ত হইবেন।
২১। নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ।⎯চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসাবে নির্বাচিত সকল ব্যক্তির নাম
নির্বাচন কমিশন, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
পঞ্চম অধ্যায়
নির্বাচনী বিরোধ
২২। নির্বাচনী দরখাসত্ম দাখিল।⎯(১) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচন বা গৃহীত
নির্বাচনী কার্যμম বিষয়ে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপÿÿর নিকট
আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
(২) কোন নির্বাচনের প্রার্থী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যμম বিষয়ে
আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করিয়া নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করিতে পারিবেন না।
(৩) এই আইনের ধারা ২৩ এর অধীন গঠিত নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বরাবরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে
নির্বাচনী অভিযোগপত্র পেশ করিতে হইবে।
(৪) কোন আদালত⎯
(ক) পরিষদের কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যের নির্বাচন মুলতবী রাখিতে;
(খ) এই আইন অনুযায়ী নির্বাচিত কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যকে তাঁহার দায়িত্ব
গ্রহণে বিরত রাখিতে;
৭০২০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(গ) এই আইন অনুযায়ী নির্বাচিত কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যকে তাঁহার
কার্যালয়ে প্রবেশ করা হইতে বিরত রাখিতে⎯
নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না।
২৩। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন।⎯(১) এই আইনের অধীনে
নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির ÿÿত্রে নির্বাচন কমিশন, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা,
একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচনী
ট্রাইব্যুনাল এবং একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার
নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিবে।
(২) কোন সংÿুদ্ধ ব্যক্তি নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্য বা সদস্যগণের নাম সরকারী গেজেটে
প্রকাশের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে নির্বাচনী দরখাসত্ম দায়ের করিতে
পারিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী গঠিত ট্রাইবুন্যাল পরিষদের নির্বাচন সংμvমও যে কোন দরখাসত্ম,
উহা দায়ের করিবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে।
(৪) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরম্নদ্ধে সংÿুদ্ধ ব্যক্তি ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্বাচনী
আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের করিবার ১২০
(একশত বিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে।
(৬) নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ামত্ম বলিয়া গণ্য হইবে।
২৪। নির্বাচনী দরখাসত্ম ও আপিল বদলীকরণের ÿমতা।⎯নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে
অথবা পÿগণের কোন এক পÿ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে পেশকৃত আবেদনের প্রেÿÿতে যে কোন পর্যায়ে
একটি নির্বাচনী দরখাসত্ম এক ট্রাইব্যুনাল হইতে অন্য ট্রাইব্যুনালে অথবা একটি আপিল ট্রাইব্যুনাল
হইতে অপর একটি আপিল ট্রাইব্যুনালে বদলী করিতে পারিবে এবং যে ট্রাইব্যুনালে বা আপিল
ট্রাইব্যুনালে তাহা এইরূপ বদলী করা হয় সেই ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল উক্ত দরখাসত্ম বা
আপিল যে পর্যায়ে বদলী করা হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচারকার্য চালাইয়া যাইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনী দরখাসত্ম যে ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হইয়াছে সেই ট্রাইব্যুনাল
উপযুক্ত মনে করিলে ইতিপূর্বে পরীÿÿত কোন সাÿী পুনরায় তলব বা পুনরায় পরীÿা করিতে পারিবে
এবং অনুরূপভাবে আপিল ট্রাইব্যুনালও এই ÿমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
২৫। নির্বাচনী দরখাসত্ম, আপিল, ইত্যাদি নিষ্পত্তি।⎯নির্বাচনী দরখাসত্ম ও আপিল দায়েরের
পদ্ধতি, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্বাচন বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি,
এখতিয়ার, ÿমতা, প্রতিকার এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০২১
ষষ্ঠ অধ্যায়
যোগ্যতা ও অযোগ্যতা
২৬। পরিষদের সদস্যগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা।⎯(১) কোন ব্যক্তি এই ধারার
উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেÿÿ পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য
হইবেন, যদি⎯
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন;
(খ) তাঁহার বয়স পঁচিশ বৎসর পূর্ণ হয়;
(গ) চেয়ারম্যানের ÿÿত্রে, সংশিস্নষ্ট ইউনিয়নের যে কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাঁহার
নাম লিপিবদ্ধ থাকে;
(ঘ) সংরÿÿত মহিলা আসনের সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যদের ÿÿত্রে, সংশিস্নষ্ট ওয়ার্ডের
ভোটার তালিকায় তাঁহার নাম লিপিবদ্ধ থাকে।
(২) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন
না, যদি⎯
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;
(খ) তাঁহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন;
(গ) তিনি কোন আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর
দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যসত্ম হইয়া অন্যূন ২
(দুই) বৎসরের কারাদ-- দ--ত হন এবং তাঁহার মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর
কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
(ঙ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপÿÿর কোন কর্মে
লাভজনক সার্বÿণিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন;
(চ) তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপÿÿর চেয়ারম্যান বা সদস্য হন;
(ছ) তিনি বা তাঁহার পরিবারের উপর নির্ভরশীল কোন সদস্য সংশিস্নষ্ট পরিষদের কোন
কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা ইহার জন্য নিযুক্ত
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা সংশিস্নষ্ট পরিষদের কোন বিষয়ে তাঁহার কোন
প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের
ডিলার হন;
৭০২২ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(জ) মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তারিখে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে কোন
ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী রাখেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত নিজস্ব
বসবাসের নিমিত্ত গৃহ-নির্মাণ অথবা ÿুদ্র কৃষি ঋণ ইহার আওতাভুক্ত হইবে না ;
(ঝ) তাঁহার নিকট পরিষদ হইতে গৃহীত কোন ঋণ অনাদায়ী থাকে বা পরিষদের নিকট
তাঁহার কোন আর্থিক দায়-দেনা থাকে;
(ঞ) তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ কিংবা সরকার কতৃর্ক নিয়োগকৃত নিরীÿা প্রতিবেদন
অনুযায়ী পরিশোধের জন্য নির্ধারিত অর্থ সংশিস্নষ্ট স্থানীয় সরকার পরিষদকে পরিশোধ
না করেন;
(ট) তিনি পরিষদের তহবিল তসরূফের কারণে দ-প্রাপ্ত হন;
(ঠ) তিনি এই আইনে বর্ণিত অপরাধে অথবা নির্বাচনী অপরাধ সংμvমও অপরাধে সংশিস্নষ্ট
আদালত কতৃর্ক দোষী সাব্যসত্ম হইয়া অন্যুন ২(দুই) বৎসর কারাদ-- দ--ত হন এবং
তাঁহার মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
(ড) তিনি কোন সরকারি বা আধাসরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, স্থানীয় কতৃর্প ÿ,
সমবায় সমিতি ইত্যাদি হইতে নৈতিক স্খলন, দুর্নীতি. অসদাচরণ ইত্যাদি অপরাধে
চাকুরিচ্যুত হইয়া ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিμvমও না করেন;
(ঢ) তিনি বিগত পাঁচ বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়ে দ-বিধির ধারা ১৮৯ ও ১৯২ এর
অধীন দোষী সাব্যসত্ম হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হন;
(ণ) তিনি বিগত পাঁচ বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়ে দ-বিধির ধারা ২১৩, ৩৩২, ৩৩৩
ও ৩৫৩ এর অধীন দোষী সাব্যসত্ম হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হন;
(ত) তিনি কোন আদালত কতৃর্ক ফেরারী আসামী হিসাবে ঘোষিত হন;
(থ) জাতীয় বা আমত্মর্জাতিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসাবে দোষী
সাব্যসত্ম হন।
(৩) প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও সদস্য পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় এই মর্মে একটি
হলফনামা দাখিল করিবেন যে, উপ-ধারা (২) অনুযায়ী তিনি চেয়ারম্যান বা সদস্য নির্বাচনের অযোগ্য
নহেন।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০২৩
২৭। একাধিক পদে প্রার্থীতায় বাঁধা।⎯(১) কোন ব্যক্তি একই সাথে চেয়ারম্যান ও সদস্য
পদে প্রার্থী হইতে পারিবেন না ।
(২) যদি কোন ব্যক্তি একই সাথে কোন পরিষদের একাধিক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন,
তাহা হইলে, তাঁহার সকল মনোনয়নপত্র বাতিল হইবে।
(৩) পরিষদের মেয়াদকালে কোন কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হইলে, কোন সদস্য চেয়ারম্যান
পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ÿÿত্রে উক্ত সদস্যকে স্বীয় পদ ত্যাগ করিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে
হইবে।
(৪) কোন ব্যক্তি একই সংগে যে কোন স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় সংসদ
সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন না।
সপ্তম অধ্যায়
পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সম্পর্কিত বিধান
২৮। পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের শপথ বা ঘোষণা।⎯(১) চেয়ারম্যান ও প্রত্যেক
সদস্য তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে প্রম তফসিলে উলিস্নখিত ফরমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন
ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা প্রদান করিবেন এবং শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাÿরদান
করিবেন।
(২) চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইবার
৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান ও সকল সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণার জন্য সরকার বা
তদ্কতৃর্ক নির্ধারিত কতৃর্প ÿ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
২৯। পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের কার্যকাল।⎯(১) কোন পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যগণ, এই আইনের বিধানাবলী সাপেÿÿ, সংশিস্নষ্ট পরিষদের প্রম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হইতে
৫ (পাঁচ) বৎসর সময়ের জন্য উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।
(২) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ হইতে পরবর্তী
৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের প্রম সভা অনুষ্ঠিত হইতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবগঠিত পরিষদের প্রম সভা অনুষ্ঠিত না হইলে
সরকার উপযুক্ত কতৃর্প ÿকে সভা আহবানের জন্য দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে
অনুষ্ঠিত সভা পরিষদের প্রম সভা হিসাবে গণ্য হইবে।
(৩) পরিষদ গঠনের জন্য কোন সাধারণ নির্বাচন ঐ পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ
নির্বাচনের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর পূর্ণ হইবার ১৮০ (এক শত আশি) দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত
হইবে।
৭০২৪ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(৪) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষে নির্বাচনের পর
উহার তিন-চর্তুাংশ সদস্য শপথ গ্রহণ করিলে ইউনিয়নটি যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য
হইবে।
ব্যাখ্যাঃ গঠিত পরিষদের মোট সদস্যদের তিন-চর্তুাংশ নির্ধারণের ÿÿত্রে ভগড়বাংশের উদ্ভব
হইলে এবং তাহা দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশের কম হইলে অগ্রাহ্য করিতে হইবে এবং
দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশ বা তার বেশী হইলে তাহা এক বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।
(৫) দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবিধ কোন কারণে নির্ধারিত ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদের মধ্যে
নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হইলে, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যমত্ম কিংবা অনধিক
৯০ (নববই) দিন পর্যমত্ম, যাহা আগে ঘটিবে, সংশিস্নষ্ট পরিষদকে কার্যμম পরিচালনার জন্য ÿমতা
প্রদান করিতে পারিবে।
৩০। দায়িত্ব হসত্মামত্মর।⎯পরিষদ গঠনের পর পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান বা প্যানেল চেয়ারম্যানের
দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য তাঁহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা পরিষদের সকল নগদ অর্থ, পরিসম্পদ, দলিল
দসত্মাবেজ, রেজিস্টার ও সীলমোহর যতশীঘ্র সম্ভব অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কতৃর্ক স্থিরীকৃত
তারিখ, সময় ও স্থানে নতুন নির্বাচিত চেয়ারম্যান বা, ÿÿত্রমত, মনোনীত প্যানেল চেয়ারম্যান বা
চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যের নিকট পরিষদের সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মনোনীত
একজন প্রম শ্রেণীর কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বুঝাইয়া দিবেন।
৩১। ব্যত্যয়ের দ-।⎯(১) যদি কোন চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন সদস্য
ধারা ৩০ অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হসত্মামত্মর করিতে ব্যর্থ হন, তাহা
হইলে তিনি ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা পর্যমত্ম অর্থদ-- দ-ণীয় হইবেন।
(২) কোন চেয়ারম্যান বা সদস্য ধারা ২৬ (৩) অনুযায়ী তাহার অযোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা
হলফনামা দাখিল করিলে তিনি ৩ (তিন) বৎসর পর্যমত্ম মেয়াদে কারাদ- অথবা ১০,০০০/- (দশ
হাজার) টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-- দ--ত হইবেন।
৩২। চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের পদত্যাগ।⎯(১) কোন সদস্য পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর
তাঁহার পদত্যাগ করিবার অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করিয়া পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ
পদত্যাগ পত্র চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত হওয়ার সাথে সাথে উক্ত সদস্যের পদ শূন্য হইয়াছে বলিয়া
গণ্য হইবে; চেয়ারম্যান সংশিস্নষ্ট সদস্যের পদত্যাগ পত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়টি অনধিক ৭ (সাত)
দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করিবেন।
(২) চেয়ারম্যান এতদুদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট, তাঁহার পদত্যাগ করিবার
অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করিয়া পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং উক্ত পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার
সাথে সাথে উক্ত চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন পদত্যাগের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনধিক
৭ (সাত) দিনের মধ্যে পরিষদ, নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে অবহিত করিবেন।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০২৫
৩৩। চেয়ারম্যানের প্যানেল।⎯(১) পরিষদ গঠিত হইবার পর প্র ম অনুষ্ঠিত সভার ৩০
(ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে অগঙাধিকারμমে ৩ (তিন) সদস্যবিশিষ্ট একটি চেয়ারম্যানের প্যানেল,
সদস্যগণ তাঁহাদের নিজেদের মধ্য হইতে নির্বাচন করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচিত ৩(তিন)জন চেয়ারম্যান প্যানেলের মধ্যে কমপÿÿ ১(এক)জন
সংরÿÿত আসনের মহিলা সদস্যগণের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেন।
(২) অনুপস্থিতি, অসুস্থতাহেতু বা অন্য যে কোন কারণে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অসমর্থ
হইলে তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যমত্ম চেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে
অগঙাধিকারμমে একজন সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) পদত্যাগ, অপসারণ, মৃত্যুজনিত অথবা অন্য যে কোন কারণে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য
হইলে নির্বাচিত নতুন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যমত্ম চেয়ারম্যানের প্যানেল হইতে
অগঙাধিকারμমে একজন সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৪) এই আইনের বিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যানের প্যানেলভুক্ত সদস্যগণ অযোগ্য হইলে অথবা
ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করিলে পরিষদের সিূামওμমে নতুন চেয়ারম্যানের
প্যানেল তৈরী করা যাইবে।
(৫) উপ-ধারা (১) ও (৪) অনুযায়ী সদস্যদের মধ্য হইতে চেয়ারম্যানের প্যানেল প্রস্ত্তত করা না
হইলে, সরকার প্রয়োজন অনুসারে, সদস্যগণের মধ্য হইতে চেয়ারম্যানের প্যানেল তৈরি করিতে
পারিবে।
৩৪। চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের সাময়িক বরখাসত্মকরণ ও অপসারণ।⎯(১) যে ÿÿত্রে কোন
পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের বিরম্নদ্ধে উপ-ধারা (৪) এ বর্ণিত অপরাধে অপসারণের জন্য
কার্যμম আরম্ভ করা হইয়াছে অথবা তাঁহার বিরম্নদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র আদালত কতৃর্ক
গৃহীত হইয়াছে অথবা অপরাধ আদালত কর্তৃক আমলে নেওয়া হইয়াছে, সেইÿÿত্রে নির্ধারিত
কর্তৃপÿÿর মতে চেয়ারম্যান অথবা সদস্য কর্তৃক ÿমতা প্রয়োগ পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থী অথবা
প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন না হইলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান অথবা
সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাসত্ম করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে সাময়িকভাবে বরখাসেত্মর আদেশ প্রদান করা হইলে আদেশ
প্রাপ্তির ৩ (তিন) দিনের মধ্যে সংশিস্নষ্ট চেয়ারম্যান ধারা ৩৩ এর বিধানমতে নির্বাচিত প্যানেল
চেয়ারম্যানের নিকট দায়িত্ব হসত্মামত্মর করিবেন এবং উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাসত্মকৃত
চেয়ারম্যানের বিরম্নদ্ধে আনীত কার্যμম শেষ না হওয়া পর্যমত্ম অথবা চেয়ারম্যান অপসারিত হইলে
তাঁহার স্থলে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যমত্ম দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে পরিষদের কোন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাসেত্মর আদেশ
প্রদান করা হইলে উক্ত সদস্যের বিরম্নদ্ধে আনীত কার্যμম শেষ না হওয়া পর্যমত্ম অথবা উক্ত সদস্য
অপসারিত হইলে তাঁহার স্থলে নতুন সদস্য নির্বাচিত না হওয়া পর্যমত্ম পরিষদের সিূামওμমে অপর
একজন সদস্য উক্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
৭০২৬ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯
(৪) চেয়ারম্যান বা সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি, তিনি⎯
(ক) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;
(খ) পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকেন, অথবা দুর্নীতি বা
অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যসত্ম হইয়া দ-প্রাপ্ত হইয়া
থাকেন;
(গ) তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের
কারণে দায়িত্ব পালনে অÿম হন;
(ঘ) অসদাচরণ বা ÿমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা
সম্পত্তির কোন ÿতি সাধন বা উহার আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন;
(ঙ) এই আইনের ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী নির্বাচনের অযোগ্য ছিলেন বলিয়া নির্বাচনের পর
যদি প্রমাণিত হয়;
(চ) বার্ষিক ১২ (বার) টি মাসিক সভার স্থলে ন্যূনতম ৯ (নয়) টি সভা গ্রহণযোগ্য কারণ
ব্যতীত অনুষ্ঠান করিতে ব্যর্থ হন;
(ছ) নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল না করেন কিংবা দাখিলকৃত হিসাবে অসত্য তথ্য প্রদান
করেন; অথবা
(জ) বিনা অনুমতিতে দেশ ত্যাগ করেন অথবা অনুমতিμমে দেশ ত্যাগের পর সেখানে
অননুমোদিতভাবে অবস্থান করেন।
ব্যাখ্যাঃএই উপ-ধারায় ‘অসদাচরণ’ বলিতে ÿমতার অপব্যবহার, কর্তব্যে অবহেলা,
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছাকৃত কুশাসনও বুঝাইবে।
(৫) সরকার বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপÿ, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, উপ-ধারা
(৪) এ উলিস্নখিত এক বা একাধিক কারণে চেয়ারম্যান বা সদস্যকে অপসারণ করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, অপসারণের সিদ্ধামত্ম চূড়ামত্ম করিবার পূর্বে বিধি মোতাবেক তদমত্ম করিতে
হইবে ও অভিযুক্তকে আত্মপÿ সমর্থনের সুযোগ দিতে হইবে।
(৬) কোন চেয়ারম্যান বা সদস্য এর অপসারণের প্রসত্মাব, সরকার বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত
কর্তৃপÿ কতৃর্ক অনুমোদন লাভের পর তিনি তাৎÿণিকভাবে অপসারিত হইবেন।
(৭) পরিষদের কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যকে উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী তাঁহার পদ হইতে
অপসারণ করা হইলে তিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপÿÿর নিকট উক্ত আদেশের তারিখ হইতে
৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল কতৃর্প ÿ উক্ত আপিলটি নিষ্পত্তি না
হওয়া পর্যমত্ম অপসারণ আদেশটি স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং আপিলকারীকে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ
দানের পর উক্ত আদেশটি পরিবর্তন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।
(৮) আপিল কতৃর্প ÿ কতৃর্ক উপ-ধারা (৭) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ামত্ম বলিয়া গণ্য হইবে।
(৯) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন
ব্যক্তি কোন পদে সংশিস্নষ্ট পরিষদের কার্যকালের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ১৫, ২০০৯ ৭০২৭
৩৫। চেয়ারম্যান বা সদস্য পদ শূন্য হওয়া।⎯(১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য
হইবে, যদি⎯
(ক) তিনি ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা সদস্য হইবার অযোগ্য হইয়া পড়েন;
(খ) তিনি ধারা ৩৪ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাসত্ম হন বা অপসারিত হন;
(গ) তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধারা ২৮ (১) এ বর্ণিত শপথ গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হন;
(ঘ) তিনি ধারা ৩২ এর অধীন পদত্যাগ করেন;
(ঙ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন; অথবা
(চ) ধারা ৩৯ অনুযায়ী তাহার বিরম্নদ্ধে সরকার কর্তৃক অনাস্থা প্রসত্মাব অনুমোদন করা হয়।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শূন্য হইলে উপজেলা নির্বাহী
অফিসার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করিয়া পদটি শূন্য ঘোষণা করিবেন।
৩৬। শূন্য পদ পূরণ।⎯যদি কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা স